প্রকাশিত: Thu, Jan 18, 2024 12:27 AM
আপডেট: Tue, May 6, 2025 12:37 AM

[১]নাশকতার এক মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন

এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন।  

[৩] আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম ‘আমাদের নতুন সময়’কে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

[৪] এর আগে ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখনোসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ আসামিদ্বয়ের উপস্থিতিতে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেটে ২দিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।

[৫] গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে এ সংঘর্ষ পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত এবং পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য ছাড়াও কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

[৬] গত ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

[৭] গত ০২ নভেম্বর, ২০২৩ দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ৬ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

[৮] এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১১টি মামলার মধ্যে ১০টিতে জামিন পেলেন। সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী